জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে
আপনি কি অবিবাহিত ? অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিয়ের পিড়িতে বসতে চাচ্ছেন ? সুখী
দাম্পত্য জীবনের জন্য কবে বিয়ে করা ভালো্ হবে তা’ জানতে আগ্রহী ? আপনার জন্ম
তারিখ অনুযায়ী বিবাহ করে হবে সেটা জানতে চান? তবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
আজকের এই আর্টিকেলটিতে জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ করে হবে সেটি কীভাবে জানবেন সে
বিষয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরব।
যেন জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে সেটি জানার মাধ্যমে নিয়ত আপনার মনে জাগা প্রশ্ন “আমার বিয়ে কবে হবে?” এর উত্তর সহজে পেয়ে যেতে পারেন। আসলে জ্যোতিষ শাস্ত্রগত আধ্মাতিক তত্ত্ব ও সংখ্যা তত্ত্ব বিশ্লেষণ করা জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে তা’ বের করার প্রক্রিয়ার মূলকথা। অনেকে তাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের বিয়ের বাস্তব সময় আর জন্মতারিখের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মিল খুঁজে পেয়ে তাদের জীবনেও এর প্রয়োগ ঘটাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পেজ সূচীপত্রঃ জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে
- জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে
- জন্ম তারিখ ও বিবাহের শুভদিনের সম্পর্ক
- জন্মছকে কী কী থাকে
- বিবাহের দিন নির্ধারণে নক্ষত্রের প্রভাব
- বিবাহের দিন নির্ধারণে তিথির প্রভাব
- বিবাহের দিন নির্ধারণে লগ্নের প্রভাব
- জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ কি কুসংস্কার
- শেষ কথা-জন্মতারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ
জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে
বিবাহ মানুষের জীবনের একটি স্মরণীয় ও্র কাঙ্খিত অধ্যায়। প্রায় সবাই জীবনের
গতিপথকে সুন্দরের দিকে ধাবিত করেন, তার মুল লক্ষ্যই থাকে ভালো একটি বিবাহ, ভালো
দাম্পত্য জীবন, সাবলিল সামাজিক সম্পর্ক। বিবাহ মানে শুধু দুজনার মাঝে
সম্পর্কের বন্ধন সৃষ্টি নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি সমাজ, দৃটি সংস্কৃতির সমন্বয়
ঘটানোর মাধ্যমে আনন্দময় জীবন যাপন। তাই বিবাহ নিয়ে মানুষের ভাবনা
দীর্ঘদিনের।
শুভ বিবাহ শুভ মুহূর্তে হোক এটা কে না চায়। কিন্তু শুভ মুহূর্ত কবে, কখন হবে
তা’ নির্ধারণ নিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষের ভাবনার শেষ নেই। কারণ সবাই বিশ্বাস
করেন, শুভ মুহূর্তে কোন কাজ করা হলে তা’ শুভ ফল বয়ে আনে। তেমনই বিবাহের
ক্ষেত্রেও মানুষ চায়, এমন এক সময়ে বিবাহ হোক যাতে পরবর্তী জীবন সুখ, শান্তি ও
সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।
আরো পড়ুনঃ সুপার ফুড রসুনঃ কেনো খাবেন, কেনো খাবেন-না
বহুদিন আগে থেকেই তাই বিবাহের
দিন-তারিখ-সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্মতারিখ, রাশিচক্র, গ্রহ-নক্ষত্রের
অবস্থান, জন্ম ছক বা জন্ম পত্রিকা বা কুষ্ঠি বিচার বিশ্লেষণ একটি স্বীকৃত প্রথা
হিসেবে প্রচলিত রয়েছে। বিশেষ করে বঙ্গীয় সমাজে জন্মতারিখ, রাশিচক্র, গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান, জন্ম ছক ইত্যাদি বিষয়ক
চর্চ্চাকারী জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিবাহের তারিখ নির্ধারণ এখনও
প্রচলিত ও বিশ্বাসযোগ্য।
জন্মতারিখ ও বিবাহের শুভদিনের সম্পর্ক
জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহ কবে হবে-এই ভাবনার মাঝে অনেকের মনে এই প্রশ্ন জেগে
উঠে আসলে কি জন্ম তারিখ বিবাহের দিন নির্ধারণে প্রভাব ফেলে? যদি প্রভাব ফেলে
তবে -জন্মতারিখ ও বিবাহের শুভদিনের সম্পর্ক কি? হ্যাঁ, প্রথমে সেটা বোঝা
প্রয়োজন।একজন মানুষের জন্মতারিখের সাথে যুক্ত থাকে তার জন্মসময়, জন্মলগ্ন,
জন্মস্থান। একটি মানুষের জন্মগ্রহনের সাথে-সাথে তার জন্ম তারিখ, জন্ম সময়, জন্ম
লগ্ন, জন্ম তিথি, জন্ম রাশি ইত্যািদি সারাজীবনের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। আর এই
তথ্যগুলি থেকে জ্যোতিষবিদগণ একজন ,মানুষের জন্মছক তৈরী করে দেন। আর এই জন্মছক
বিশ্লেষণেই পাওয়া যায় একজন মানুষের রোমান্টিক জীবনের পূর্বাভাস, বিবাহের
সম্ভাব্য সময়, বিবাহের ধরণ ইত্যাদি।
জন্মছকে কী কী থাকে
আগ্বেই বলেছি, জন্ম ছক তৈরী হয় জন্মকালীন তথ্যাদির সমন্বয়ে। তাই বোঝা যায়,
জন্মছকে সাধারনতঃ গ্রহ, নক্ষত্র, রাশি, তিথি, লগ্ন, শুভাশুভ যোগের প্রতিফলন
থাকে, যা মানুষের ভবিষ্যৎ চরিত্র, ভাগ্য, প্রতিপত্তি ইত্যাদির উপর প্রভাব ফেলে।
মূলত জন্মছকে মানুষের জন্মগ্রহণের মুহূর্তে গ্রহগুলির অবস্থান এবং তাদের মধ্যে
তৈরি হওয়া কৌণিক দূরত্ব বা দিকগুলি দেখানো হয়। এছাড়াও, জন্মতারিখ, সময় ও
স্থানের উপর নির্ভর করে সূর্য, চন্দ্র এবং উদীয়মান রাশি এবং অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও এতে অন্তর্ভূক্ত থাকে।জন্মেদিনের তথ্যের উপর ভিত্তি
করে প্রস্তুত এই জন্মছক বিশ্লেষণ করেই বিবাহের শুভদিন, শুভক্ষণ নির্ধারণ করা হয়ে
থাকে।
বিবাহের দিন নির্ধারণে গ্রহের প্রভাব
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ীপ্রতিটি গ্রহের নিজস্ব প্রভাব ও শক্তি থাকে। যা দ্বারা
একজন মানুষের ভাগ্য, স্বভাব, কর্মফল, রোমান্টিক জীবন, বিবাহ প্রভাবিত
হয়।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কোন গ্রহ কিসের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত তা’ তুলে ধরা
হলোঃ
সূর্যঃ এটাকে গ্রহের রাজা বলা হয়, যা নেতৃত্ব, ক্ষমতার প্রতীক।চন্ত্রঃ আবেগ, অনুভূতি ও মানসিক অবস্থার প্রতীক।
মঙ্গলঃ শক্তি, সাহস ও কর্মের প্রতীক।
বুধঃ বাণিজ্য, বুদ্ধি ও যোগাযোগের প্রতীক।
বৃহস্পতিঃ জ্ঞান. সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও আধ্মাতিকতার প্রতীক।
শুক্রঃ সৃজশীলতা, সৌন্দর্য্য, সম্পর্ক, ভালোবাসা, দাম্পত্য সুখের প্রতীক।
শনিঃ শৃঙ্খলা, দায়িত্ব ও ভাগ্যের প্রতীক।
সুতরাং জন্মকালের নিরুপিত স্ব স্ব গ্রহ দ্বারা মানুষ আজীবন প্রভাবিত হতে পারে।
বিবাহের দিন নির্ধারণে নক্ষত্রের প্রভাব
জ্যোতিষশাস্ত্রে বিবাহে নক্ষত্রের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জন্মের
সময় হতেই নক্ষত্রগুলি ব্যক্তিত্ব ও জীবধারাকে প্রভাবিত করে, যাতে একজন
মানুষের সাথে তার সঙ্গীর সম্পর্ক সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কিনা তা নির্ধারণ করা
যায়।স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য নক্ষত্রের মিলণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।কিছু
নক্ষত্র যেমন-রোহিনী, মৃগশিরা, উত্তরফাল্গুনি, স্বাতী, মঘা ইত্যাদি শুভ এবং
অশ্লেষা, জ্যেষ্ঠা ইত্যাদি অশুভ হিসাবে বিবেচিত।েএমনতর শুভ-অশুভ বিবেচনা করা
হয় দাম্পত্য জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রাপ্তির আশায়।
বিবাহের দিন নির্ধারণে তিথির প্রভাব
বিবাহের দিন নির্ধারণে তিথি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
যেমন-দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, পঞ্চমী, সপ্তমী, দশমী, একাদশী ও ত্রয়োদশী শুভ ও
অমাবস্যা, পূর্ণিমা, চতুর্দশী ও অষ্টমী তিথি অশুভ হিসাবে বিবেচনা করা
হয়।
বিবাহের দিন নির্ধারণে লগ্নের প্রভাব
লগ্ন বা শুভ মুহূর্তও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।লগ্ন বলতে বোঝায়, সূর্যদয়ের
সময় পৃথিবীর নির্দিষ্ট স্থানে কোন রাশিচক্র উদিত ছিল। জ্যোতিষরা জন্মতারিখ
হতে জন্মলগ্ন বের করে কোন লগ্ন বিবাহের জন্য শুভ তা’ নির্ধারণ করে
থাকেন।বিবাহের লগ্ন নির্ধারণের জন্য দেখা হয় যে, ঐ মুহূর্তে গ্রহগুলো কেমন
অবস্থানে রয়েছে। যেমন-চন্দ্রের অবস্থান, শুক্র ও মঙ্গলের অবস্থান, আর
কুগ্রহের প্রভাব কতটা। শুভলগ্ন হবে সেটাই যখন গ্রহগুলোর অবস্থান দাম্পত্য
সুখ, শান্তির অনকূলে থাকে।
জন্মতারিখ হতে বিবাহের দিন নির্ধারণের মৌলিক দিকসমূহ
জন্মতারিখ হতে বিবাহের দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মৌলিক নীতি অনুসরণ
করা হয়। নীতিমালার সারসংক্ষেপ নীচে দেয়া হলো-
- জন্মছক তৈরী করাঃ প্রথমেই একজন মানুষের জন্মতারিখ, জন্মস্থান, জন্মসময় হতে তার জন্মছক তৈরী করতে হবে। এ’ বিষয়ে এজন জ্যোতিষবিদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।অথবা বর্তমানে এ’ বিষয়ে প্রস্তুত বিভিন্ন ওয়েব সাইটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
- চন্দ্ররাশি মিলকরণঃ বিবাহের জন্য প্রস্তাবিত পোত্র-পাত্রীর চন্দ্ররাশি পরস্পরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন কিনা তা যাচাই করা।
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালে SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা কনটেন্ট লেখার নতুন নিয়ম
- গোত্র ও দোষ পরীক্ষাঃ বিয়ের আগে গোত্র ও দোস পরীক্ষা করা হয়, যাতে জৈবিক ও মানসিক সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা যায়।
- মঙ্গল দোষ নিরসনঃ জন্মতারিখ অনুযায়ী কোনো মঙ্গল দোষ থাকলে বিয়ের দিন নির্ধারণের পূর্বেই তা’’ নিরসনে বিশেষ প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
- দশা ও অন্তরদশা বিশ্লেষণঃ জন্মছকে সেই সময়ের গ্রহ দশা অনুকূর কিনা তা’ যাচাই করে দেখা হয়।যদি শনি, রাহু-কেতুর দশা চলমান থাকে তবে জ্যোতিষিরা সেই সময়ে বিবাহ না-করার পরামর্শ দেন।
- পঞ্চাঙ্গ মিলিয়ে দেখাঃ পঞ্চাঙ্গ বলতে তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ ও করণকে বোঝানো হয়ে থাকে। এগুলো বিশ্লেষণ করে বিবাহের দিন নির্ধারণ করা হয়।
জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণে সংখ্যাতত্ত্ব
সংখ্যাতত্ত্ব বিশ্লেষণ জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিশেষ দিক, যা
সংখ্যা নিয়ে কাজ করে। সংখ্যাতত্ত্ব বিশ্লেষণে জন্মতারিখকে বিশ্লেষণ করা হয় একজন ব্যক্তির
জীবনাচরণ ও বিবাহ সম্পর্কীত তথ্যাদি নির্ধারণের জন্য।গ্রীক দার্শনিক ও
গণিত শাস্ত্রবিদ পিথাগোরাসের শিক্ষা থেকে এর প্রচলন হয়েছে।
সংখ্যা তত্ত্ব বিশ্লেষণ করতে প্রথমে ‘লাকি নম্বর’ বা ‘রুলিং নম্বর’ বের
করতে হয়। তারপর ‘পারসোনাল নম্বর’ বের করতে হয়। রুলিং নম্বর অনুযায়ী বিবাহ
হতে পারে গবেষণায় প্রাপ্ত এমন পারসোনাল নম্বর-এর একটি তালিকা পূর্বেই
প্রস্তুত করা থাকে। উক্ত তালিকা অনুযায়ী রুলিং নম্বরের সাথে পারসোনাল
নম্বরের মিল পাওয়া গেলেই ঐ বছরকে বিবাহের বছর হিসাবে যৌক্তিক বিবেচনা
করা হয়।
এখানে রুলিং নম্বর হবে জন্ম তারিখের শুধুমাত্র দিনের সংখ্যাটি। দিনের
সংখ্যা এক ডিজিটের হলে সেই সংখ্যাটি নিতে হবে, দুই ডিজিটের হলে তার
যোগফলকে এক ডিজিটে (০ হতে ৯) রূপান্তর করে নিতে হবে। পারসোনাল নম্বর হবে
জন্ম তারিখের দিন ও মাসের ডিজিটগুলির যোগফল ও সম্ভাব্য বিয়ের বছরের
যোগফলের ডিজিটগুলির এক ডিজিটে রূপান্তরিত নম্বর।
উদাহরন হিসাবে ধরা যাক এক ব্যক্তির জন্ম তারিখ ১৫/০২/১৯৮১। তাহলে তার
রুলিং বা লাকি নম্বর হবে ১+৫=৬। জন্ম দিন ও জন্ম মাসের যোগফল হবে
৬+২=৮। আমরা যদি সম্ভাব্য ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬, ২০০৭ সালকে বিয়ের সার কিনা
যাচাই করতে চাই তবে ২০০৪ সালের জন্য পারসোনাল নম্বর হবে
(২০০৪+৮)=২০১২ অর্থাৎ (২+০+১+২)=৫, ২০০৫ সালের জন্য ৬, ২০০৬ সালের জন্য ৭
ও ২০০৮ সালের জন্য ৮।
আরো পড়ুনঃ নারীদের বিবাহের সাজসজ্জা কেমন হওয়া উচিত
গবেষণায় প্রাপ্ত লাকি নম্বরের বিপরীতে যে সকল পারসোনাল নম্বর
গ্রহনযোগ্য হতে পারে তার একটি গবেষণালব্ধ তালিকা নীচে দেয়া হলোঃ
লাকী নম্বর পারসোনাল নম্বর
১
১,৪,৫,৭
২ ১,৫,৬,৮
৩ ৩,৬,৭,৯
৪ ১,৪,৭,৮
৫ ২,৫,৭,৯
৬ ১,৩,৬,৯
৭ ১,২,৪,৮
৮ ১,২,৬,৮
৯ ২,৩,৬,৭
বর্নিত তালিকা হতে দেখা যায়, ঐ ব্যক্তির
গ্রহনযোগ্য বিবাহের বছর হচ্ছে ২০০৫
সাল।
এ তো গেল বিবাহের বছর নির্ধারণ। এবার দিন
নির্ধারণ করার পালা। গ্রহনযোগ্য বিবাহের দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে লাকি নম্বর ৪ (৪,১৩,২২ তারিখ), ৫
(৫,১৪,২৩ তারিখ), ৮ (৮,১৭,২৬ তারিখ) গ্রহন করা সমীচিন নয়। বলা হয়ে থাকে
লাকি নম্বর ৫ সবচেয়ে খারাপ দিন। অর্থাৎ ৫,১৪,২৩ তারিখ। লাকি নম্বর ৫ এর
তারিখগুলোতে বিবাহ হলে এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে।
জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ কি কুসংস্কার
আধুনিকতায় বিশ্বাসী অনেকে মনে করেন,
জ্যোতিষী বা সংখ্যা তত্ত্ব দ্বারা বিবাহের
দিন নির্ধারণ যৌক্তিক নয়, এটি কুসংস্কার।
তবে অসংখ্য মানুষের মনে জন্ম তারিখ অনুযায়ী
বিবাহের দিন নির্ধারণের উপর বিশ্বাস রয়েছে।
তারা এটিকে চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও মনে
করে থাকে।
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, যারা শুভলগ্নে
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা দাম্পত্য
জীবনে সুখী। আবার যারা অশুভ লগ্নে বিবাহ
করেছেন তারা বৈবাহিক জীবনে অসুখী। মতবিরোধ,
অর্থসংকট, স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছ
তাদের।
ইসলামী মতে, কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নয়, গ্রহ-নক্ষত্র নয়, বরং নিয়ত ও
কর্মের উপরই বিবাহের বরকত নির্ভর করে।
শেষ কথা-জন্ম তারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ
জন্মতারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ
বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আমরা
নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছি জন্মতারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ একটি প্রচলিত জনপ্রিয়
প্রথা, ঐতিহ্যবাহী একটি জ্যোতিষিয় প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে
মানুষ শক্তি ও আস্থা অর্জন করে। এই শক্তির ফলে মানুষ আত্মবিশ্বাস অর্জন
করে।মনে ইতিবাচক অনুভবের সৃষ্টি হয। তাই জন্মতারিখ অনুযায়ী বিবাহের
দিন নির্ধারণ একবারে অমূলক নয়, অযৌক্তিক নয়। তবে একথা সত্য, শুধু জন্ম
তারিখ দেখে বিবাহের ফলেই সব সুখ-শান্তি আসে না। একই সাথে জীবন আচরণে,
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সহানুভূতি ও বোঝাপড়াও অটুট থাকতে হয়।
তাই জন্মতারিখ অনুযায়ী বিবাহের দিন নির্ধারণ যেমন সাংস্কৃতিক ও
জৌাতিষিয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এটি একটি আত্মিক অনুশাসন যা প্রতিপালনে
মনে নির্ভরতা, আত্মবিশ্বাস জন্ম দেয়। এভাবেই শুভদিনে, শুভলগ্নে শুরু হওয়া
দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠে একটি সাবলীল, প্রাঞ্জল অধ্যায়। সবশেষে, শুভবিবাহ
সম্পন্ন হোক শুভদিনে, নির্ধারণের উপাদান আছে জন্মদিনে।

বহুবিধ.কম-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url