হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য কিঃ কেন এটি অন্য ঋতু হতে আলাদা

    
হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য কিঃ কেনো এটি অন্য ঋতু হতে আলাদা-এ’ বিষয়ে আমরা সবাই কম-বেশী জানি। তবু বৈচিত্রের এই দেশে যখন কোনো ঋতু আমাদের প্রকৃতিকে ভিন্ন সাজে সাজায় তখন সে অনুভব লিখতে অথবা মনের অবেগ মিশিয়ে পড়তে কার না ভালো লাগে।  সে কারণেই আজকের আমার মনের ভাবকে আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করতেই এই লেখা লিখছি। 

বাংলাদেশের প্রকৃতি ষড়ঋতুর দেশে পরিণত হয়ে এক অনন্য সৌন্দর্যের আবাস গড়ে তুলেছে এই ষড়ঋতুর মধ্যে হেমন্তকাল এমন এক ঋতু যা শরৎ শীতের মধ্যবর্তী সংযোগসূত্র হিসেবে কাজ করে হেমন্তকাল আসে শরতের উজ্জ্বল রোদ নীল আকাশ আর ধান পাকার হওয়ার আনন্দ নিয়ে আবার চলে যায় শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে প্রকৃতির এই রূপান্তরকালীন ঋতু শুধু সৌন্দর্যের নয় বরং জীবনের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলে তাই হেমন্তকাল তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যগুলোর থেকে একেবারে আলাদা ও স্বতন্ত্র।

পেজ সূচীপত্রঃ হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য কিঃ কেন এটি অন্য ঋতু হতে আলাদা

হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য কিঃ কেন এটি অন্য ঋতু হতে আলাদা

ষড়ঋতুর এই দেশে হেমন্তকাল আসে শরতের পরে অর্থাৎ কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসে। সাধারণতঃ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি হতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়কে হেমন্তকাল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হেমন্তকালের বৈশিষ্ট্য কিঃ কেনো এটি অন্য ঋতু হতে আলাদা-প্রকৃতির পরিবর্তন হতেই তা’ অনুভব করা যায়। এ’ সময়ে বর্ষার সেতসেতে ভাব নেই, মেঘের গর্জন নেই, ঝড়ো বাতাস নেই। শুধু আছে নীল মেঘের ভেসে চলা। আছে কুয়াশা। আছে ঘাসের বুকে শিশিরের মিতালী। দুপুরের কোমল রোদ। পড়ন্ত বিকেলে হিমেল বাতাস।

আরো দেখুনঃ জন্মতারিখ অনুযায়ী বিবাহ করে হবে

হেমন্তের প্রকৃতি যেন অন্য এক সাজে সেজে ওঠে। মাঠে মাঠে পেকে ওঠে সোনালী ধান, যেন সোনার কারুকার্যে ভরা এক বিশাল সমুদ্র। কৃষকের মুখে ফুটে ওঠে পরিশ্রমের হাসি। কারণ এটি ফসল কাটার মৌসুম। বাতাসে ধান শুকানোর গন্ধ, খড় পোড়ানোর ধোঁয়া. আর পাক ফসলের ঘ্রাণ। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব গ্রামীণ আবহ তৈরি হয়। 
গাছে নতুন পাতা আসে না। আবার পুরানো পাতাও ঝরে পড়ে না। শরতের মতো শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ তখনো বাতাসে মিশে থাকে। বনের ঝোপে ঘাসফুল মিলিয়ে গেলেও তার স্মৃতি যেন তখনো ভাসে শরতের মত করে। নদীর পানি কিছুটা কমে যায়. কিন্তু তবুও থাকে এক শান্ত মাধুর্য। হেমন্তের প্রকৃতি তাই শান্ত পরিপক্ক ও স্নিগ্ধ।

হেমন্তকালে গ্রামীণ জীবনের ব্যস্ততা ও আনন্দ

বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। আবার কৃষি প্রধান দেশও বটে। তাই কৃষিনির্ভর গ্রামীণ জীবনে হেমন্তকালের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। হেমন্তকালে  রবিশস্যের ব্যাপক চাষাবাদ হয। তাছাড়া কৃষকরা আগাম শাক-সব্জী চাষ ও যত্ন নিতে ব্যস্ত থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হেমন্তকাল ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুম। বর্ষায় ভিজে, রোদে পুড়ে কৃষক যে-ধান চাষ করেন হেমন্তে এসে কষ্টের ফসল সোনালী ধান ঘরে তোলার আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে।ধান কাটা, মাড়াই করা, শুকানো, গোলায় সংরক্ষণে কৃষাণের সাথে কৃষাণীরাও পরিশ্রম করে থাকেন। তাদের সব পরিশ্রম সোনালী ধানের সোনা-রঙে মিশে উৎসবের আনন্দে রূপ নেয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বহুবিধ.কম-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url